বাংলাদেশ সেন্টার লন্ডনের সংবিধান এবং বর্তমান দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ও ম্যানেজম্যান্ট কমিটি গঠন
ওমর ফারুক :
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ৪:৩৮ মিনিটবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিচারপতি আবু সাইয়েদ চৌধুরী বাংলাদেশ সেন্টার লন্ডনের ভবনটিকে তাঁর অফিস হিসাবে ব্যবহার করেন এবং স্বাধীনতা উত্তর কালে বাংলাদেশের প্রথম হাই কমিশন এই ভবনটিতে চালু করা হয়েছিল।
তাঁর পর বিভিন্ন চড়াই উৎরাই পার হয়ে বাংলাদেশ সেন্টারে একটি কমিউনিটি সেন্টার স্থাপন করে কমিউনিটি সেবা প্রদানের কাজ অব্যাহত আছে, তাই সংগত কারণেই বাংলাদেশ সেন্টারের সাথে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, আবেগ ও চেতনা জড়িয়ে রয়েছে।
১৯৮৩ সালের মে মাসের ১৯ তারিখে একটি সাধারণ সভায় এই প্রতিষ্ঠানটিকে চ্যারিট্যাবল কোম্পানিতে পরিণত করা হয়। কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন নম্বর হল ১৭৪৬৩৫৩ এবং গভর্নিং দলিল হিসাবে মেমোরেন্ডাম অফ এসোসিয়েশন ও আর্টিকেলেস অফ আসোসিয়েশন গৃহীত হয়। উক্ত আর্টিকলেস অব এসোসিয়েসন অনুসারে বিশেষ করে ২৮ নং ধারাতে কাউন্সিল অফ ম্যানেজমেন্ট গঠনের অনুচ্ছেদ সমূহ ও অন্যান্য আনুসাঙ্গিক ধারা ও অনুচ্ছেদ সমূহের আলোকে ১৯৮৩ সালের ৯ই মে মাসে প্রথম কাউন্সিল অফ ম্যানেজমেন্ট গঠন করা হয়।
তারপর প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর কিভাবে কাউন্সিল অফ ম্যানেজমেন্ট এর সদস্যরা নির্বাচিত/পুনর্নির্বাচিত হবেন, অবসরে গেলে, বহিস্কৃত হলে কিংবা মৃত্যু হলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কাউন্সিলের শূন্য পদ সমূহ কি ভাবে পূরণ করা হবে তার বিধান উল্ল্যেখ করা হয়েছে।
১৯৮৩ সালের এই ঐতিহাসিক চার্টার বা গভর্নিং দলিল অনুমোদনের পর ২৬শে নভেম্বর ২০২৩ সালে সর্ব প্রথম কাউন্সিল অফ মানাজেমেন্টের শূন্য পদ সমূহের বিভিন্ন ক্যাটাগরির মেম্বারদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য নির্বাচন হয়, এই নির্বাচনে বিভিন্ন ক্যাটাগরি যেমন প্রতিষ্ঠাকালীন প্রতিষ্ঠাতা মেম্বার ক্যাটাগরির ১৭টি শূন্য আসন সহ স্থায়ী সদস্য, আজীবন সদস্য ও সাধারণ সদস্যদের ক্যাটারি ভুক্ত আসন কোটার প্রেক্ষিতে ৩৫ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হন।
এই ৩৫ জন প্রতিনিধি কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের মধ্যে জীবিত ১০ জন সদস্য প্রতিষ্ঠাতা -কর্পোরেট ক্যাটাগরির ৪ জন সদস্য সহ আর্টিকেল অফ এসোসিয়েশনের ৪৪ ধারা অনুসারে আগামী ২ বছর মেমোরেন্ডাম অফ এসোসিয়েশন এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাউন্সিল অফ মানাজেমেন্টের অফিস কর্মকর্তা যেমন সহ সভাপতি, সেক্রেটারি, ট্রেজারার সমূহ পদে কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচন করবেন।
এই ৪৪ ধারার অধীনে সর্বোচ্চ প্রাপ্ত ভোটের ক্রমানুসারে প্রতিটি পদের ক্রম নির্ধারিত হবে, যেমন সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত জন হবেন ১নং সহ সভাপতি, এই ভাবে প্রাপ্ত ভোটার ক্রমানুসারে ২নং সহ সভাপতি, ৩নং সহ সভাপতি এই ভাবে ৭নং পর্যন্ত, এবং এই প্রক্রিয়া অনুসারে সেক্রেটারি, সহ সেক্রেটারি, কোষাধক্ষ্য, সহ কোষাধক্ষ্য নির্বাচনের মাধ্যম কাউন্সিল অফ ম্যানেজমেন্ট গঠিত হবে।
কিন্তূ গত ২৬ তারিখের নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশিন ও সেক্রেটারি আর্টিকেল অফ আসোসিয়েশন অনুসরণে চরম ভাবে ব্যর্থ হয়েছেন
এবং নির্বাচন উত্তর কালীন কাউন্সিল অফ ম্যানেজমেন্ট গঠনের বিধান অনুসারে যেমন স্থায়ী সদস্যদের নির্বাচিত প্রতিনিধি, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, প্রতিষ্ঠা-কর্পোরেট সদস্য ও যৌথ ভাবে নির্বাচিত আজীবন এবং সাধারণ সদস্যদের নির্বাচিত প্রতিনিধি সহ মোট ৪৯ সদস্য মিলে কাউন্সিল অফ ম্যানেজমেন্ট এর কর্মকর্তা ও নির্বাহী কমিটি নির্বাচন করবেন।
কিন্তু গঠনের প্রক্রিয়াকে লঙ্ঘন করে ৫ই ডিসেম্বর আজীবন সদস্যের ক্যাটারিভুক্ত কতিপয় নির্বাচিত প্রতিনিধি বাংলাদেশে সেন্টারের সংবিধানের ৫, ২৮, ৪২, ৪৪ সহ কোম্পানি আইনের ১৭৭ ও ১৭৯ ধারা লঙ্ঘন করে একটি অবৈধ কমিটি ঘোষণা করে বাংলাদেশ সেন্টারের সংবিধান বিরোধী কাজে লিপ্ত রয়েছেন, এবং বাংলাদেশ সেন্টারের তহবিল তসরূপের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছেন।
এই অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া থেকে সকলকে বিরত থাকার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছি এবং বাংলাদেশ সেন্টারের স্থায়ী সভাপতি (সাংবিধানিক পদাধিকার বলে) মাননীয় রাষ্ট্রদূত সাদিয়া মোনা তাসনিমের ঘোষণাকৃত আগামী ১১ই জানুয়ারি ২০২৪ অনুষ্ঠিতব্য সভায় সকল সংশ্লিষ্ট সহস্যকে উপস্থিত থেকে সাংবিধানিক ভাবে বিষয়টি নিষ্পিত্তি করার জন্য আকুল আহ্বান জানাচ্ছি।
মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ সেন্টারে একটি চ্যারিটি এবং আমাদের মেম্বাররা হলেন সর্বোচ্চ ক্ষমতার মালিক, এই মেম্বারদের ম্যানডেট এর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য, এবং সেই জন্য আমাদের সকলকে মিলে মিশে আগামী ২ বছর বাংলাদেশ সেন্টারের মেমোরেন্ডাম অফ আসোসিয়েশন বা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের জন্য কাজ করে যেতে হবে।
সেই ক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশী সকল মিডিয়া, মিডিয়া কর্মী, ও সম্মানিত সাংবাদিকদের একটি বিরাট ভূমিকা রয়েছে।
তাই আসুন সবই মিলে একসাথে আমাদের কমুনিটির উন্নতির জন্য কাজ করি।