বাংলাদেশের পানিশাইলের শাখা ভারতের বারইগ্রাম
রাধারমণ গোস্বামী জিউর দীক্ষার বিধান দিলেন বৃন্দাবনের মোহন্ত মহারাজরা
বিডি ডেস্ক :
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৩৪ মিনিটপ্রভুপাদ শ্রীশ্রী রাধারমণ গোস্বামী জিউর দীক্ষিত সন্তানদের মধ্যে বর্তমানে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তাই উপস্থিত বৈষ্ণব মোহন্ত মণ্ডলীর নিকট সমস্যা তুলে ধরা হয় ।প্রভুপাদ শ্রীশ্রী রাধারমণ গোস্বামী জিউ দেহরক্ষা করার পর আশ্রমের সংবিধান মতে তৎকালীন
কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শ্রীশ্রী রাধারমণ গোস্বামী জিউর আশ্রিত ত্যাগী, ভেকাশ্রিত বৈষ্ণব
দ্বারা প্রভুপাদের দীক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে গৃহস্থ বৈষ্ণব এবং প্রভুপাদের
আশ্রিত বৈষ্ণব ছাড়াও কেহ কেহ বিভিন্ন স্থানে প্রভুর দীক্ষা দিতে থাকেন। যার ফল স্বরূপ বিভিন্ন প্রান্তে এক অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভা চলিত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে “পূর্ববর্তী কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রভুপাদের আশ্রিত ত্যাগী, ভেকাশ্রিত বৈষ্ণব ব্যতীত কেহ প্রভুপাদের দীক্ষা প্রদান করিতে পারিবেন না।”
এদিকে ২৯ নভেম্বর বৈষ্ণব মোহন্ত মণ্ডলীদের সভায় তাদের নিকট জানতে চাওয়া হয় , শ্রীশ্রী রাধারমণ গোস্বামী জিউর আশ্রিত ত্যাগী, ভেকাশ্রিত বৈষ্ণব
ব্যতীত কেহ প্রভুপাদের দীক্ষা প্রদান করিতে পারিবেন কি?
এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটিকে আপনাদের মূল্যবান বিধান প্রদান করুন, যাহাতে ভবিষ্যতে প্রভুপাদের আদর্শ জগতের মঙ্গলার্থে অক্ষুন্ন থাকে।
এই আবেদনের পর মোহন্ত মহারাজারা বিধানদেন যে ”
মাধ্য গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের ভাবধারায় প্রবহমান শ্রীল
নরোত্তম দাস ঠাকুরের পরিবারভুক্ত বিরক্ত ভেকাশ্রীত বৈষ্ণব পরম্পরায় দীক্ষাদান সাধনপ্রণালী সমৃদ্ধ পূর্ববঙ্গের পানিশাইল (বর্তমান বাংলাদেশ) গদী সঞ্চালিত হয়ে আসছে । পানিশাইলের গদীর শাখা হিসেবে বারইগ্রামস্থিত প্রভুপাদ শ্রীশ্রী রাধারমণ গোস্বামী পাদের প্রেরণা সঞ্চারিত আস্রমের দীক্ষাদান ও সাধনা প্রণালী বিরক্ত ভেকাশ্রিত বৈষ্ণবদের দ্বারা সঞ্চালিত হবেন।এই অভিমত গৌড়ীয় বৈষ্ণবাচার্য্যদের সিন্ধান্তনুমোদিত হয়ে চলে আসছে “। বুধবার বারইগ্রাম শ্রীশ্রী গোপাল জিউ, শ্রীশ্রী রাধাবিনোদ জিউ ও শ্রীশ্রী রাধারমণ গোস্বামী জিউর আশ্রমে বৈষ্ণব সম্মেলনে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেন
বৃন্দাবনের গৌড়মন্ডল খালসার পাথরপুরা মহামন্ডলেশ্বর
শ্রীমহন্ত বড়ি সুরমাকুঞ্জের গৌড় গোপাল দাস এবং
বৃন্দাবনের বংশীভট মহামন্ডলেশ্বর নরউত্তমঠাকুর খালসা ঘোটাকুঞ্জের শ্রীমোহন্ত রাম রায় দাস । তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রণবানন্দ দাস বাবাজি, প্রাণকৃষ্ণ দাস বাবাজি
দীনবন্ধু দাস বাবাজি, কানাই দাস বাবাজি, সচ্ছিদানন্দ
দাস বাবাজি ,জগদানান্দ দাস বাবাজি,রঘুনাথ
দাস বাবাজি, গৌড় গোবিন্দ দাস বাবাজি,রসরাজ দাস বাবাজি।