বিয়ানীবাজারে ইউএনও’র প্রেস ব্রিফিং-এ যোগ দেননি সাংবাদিকগণ!
স্টাফ রিপোর্টার :
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মার্চ ২০২৩, ৩:০৫ মিনিটসিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা তাসনিমের সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিলেন না বিয়ানীবাজারে কর্মরত সাংবাদিকগণ। রোববার নির্ধারিত সময় ৩ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ( ভুমি) সহ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ উপজেলা পরিষদ হল রুমে উপস্থিত হয়ে ১ ঘন্টা অপেক্ষার পর কোন সাংবাদিক উপস্থিত না হওয়ায় তারা বিরক্ত হয়ে যার যার কর্মস্থলে ফিরে যান। তবে কেন এ ঘটনা ঘটল তা জানা যায়নি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর সর্বপ্রথম জাতির পিতা দেশের ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল অসহায় মানুষের পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন নোয়াখালি জেলার (বর্তমানে লক্ষীপুর জেলা) চরপোড়াগাছা গ্রাম পরিদর্শনে যান এবং ভূমিহীন-গৃহহীন-অসহায় মানুষের পুনর্বাসনের নির্দেশ প্রদান করেন।
জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরবর্তীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত ৯ হাজার ৩৭০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসন করা হয়েছে।
ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুজিব শতবর্ষে “বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা” মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে “ মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ প্রদান নীতিমালা-২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে।
মুজিব শতবর্ষে “বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা” মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহতী উদ্যোগ ও নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ প্রদান নীতিমালা-২০২০’ অনুসরণে সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি ও উপজেলা কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাইক্রমে ১ম পর্যায়ে ১০৪ টি পরিবারকে ০২ শতক নিষ্কন্টক খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক উক্ত জমিতে সম্পূর্ণ সরকারি খরচে একটি সুন্দর আধাপাকা বাসগৃহ নির্মাণ করে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, উক্ত ০২ শতক জমি সরকারি খরচে উপকারভোগী পরিবারের নামে কবুলিয়ত/দলিল রেজিস্ট্রেশনসহ উপকারভোগী পরিবারের নামে সরকারি খরেচ নামজারীক্রমে রেকর্ড সংশোধন করে দেয়া হয়েছে। একইভাবে ৩য় পর্যায়ে ১২০টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ০২ শতক জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভিডিও কনফারেন্সিং এবং উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উক্ত ঘরসমূহ উপকারভোগী পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়। আগামী ২২ মার্চ ২০২৩ খ্রি. তারিখ সকাল ১১.০০ ঘটিকার সময় সারাদেশে একযোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান ও ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে ৩য় পর্যায়ের অবশিষ্ট এবং ৪র্থ পর্যায়ে নির্মিত 39,365টি ঘর উপকারভোগীদের নিকট হস্তান্তর করার জন্য সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ানীবাজার উপজেলার ৪র্থ পর্যায়ের ৬৩টি ঘরের মধ্যে ৪৩টি ঘর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উপকারভোগীদের নিকট হস্তান্তর করা হবে। উক্ত উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান ও গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হল।