মাধবপুরে সাইনবোর্ডবিহীন একটি বেকারিতে নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ফুড আইটেম উৎপাদন
হামিদুর রহমান, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ৪:২৪ মিনিটহবিগঞ্জের মাধবপুরে এ.কে বেকারি নামের একটি ফাস্ট ফুড উৎপাদনকারী প্রতিষ্টান নিয়মনীতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গগুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যে নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বিভিন্ন ফাস্ট ফুড আইটেম তৈরী করে বাজারজাত করছে। বিএসটিআইর অনুমোদন না থাকলেও উৎপাদনের এবং মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ সংবলিত ভূয়া লেবেল লাগিয়ে উৎপাদিত সামগ্রী মোড়কজাত করে বাজারজাত করনের মাধ্যমে ভোক্তা গ্রাহকদের প্রতারিত করে আসছে।গ্রাহকেরা রয়েছেন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। মাধবপুর পৌর শহরে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পুর্বপার্শ্বে মোল্লা মার্কেটে বিশালায়তনের এই বেকারি কারখানায় ৭/৮ জন শ্রমিক রয়েছে যাদের বেশীরভাগই মহিলা ও কিশোরী।
সাইনবোর্ডবিহীন এ বেকারি কারখানাটিতে পাউরুটি,বন,নানা ধরনের কেইক,ভেজিটেবল রোল ও পেটিস তৈরী করা হয়।স্যাতস্যাতে নোংরা ফ্লোরে বসে মহিলাদের পিঁয়াজ কাটতে ও ময়দা মাখাতে দেখা গেছে। ময়দা মাখানোর সময় তাদের হাতে কোনো গ্লাভস ব্যবহার করতে না দেখে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা চুপ করে থাকেন।
একটু পর আবুল খায়ের নামে এক ব্যক্তি এসে নিজেকে এই বেকারির মালিক বলে পরিচয় দেন।তিনি এটিকে এ.কে. বেকারি বলে উল্লেখ করেন এবং নিজেকে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার সহ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে বলেন তিনি জাতীয় পর্যায়ের সাংবাদিক।তার এখানে সাংবাদিকেরা কেন এসেছে? কথাবার্তার এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন বেকারি পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউট (বিএসটিআই)এর কোনোরূপ অনুমোদন নেই তার।স্থাণীয় পৌরসভা থেকে ট্রেড লাইসেন্সও করেননি তিনি।তিনি দাবি করেন এই বেকারিটি মাস দুয়েক আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিনি কিনে নিয়েছেন।অনুমোদন সংক্রান্ত কাগজপত্র তিনি শীঘ্রই সংগ্রহ করবেন।খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে আবুল খায়ের মাধবপুর পৌর এলাকার মৃত হুরন আলীর পুত্র।কিছুদিন মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছেন।তিনি একেক সময় একেক পরিচয় দিয়ে থাকেন।মাধবপুরের কয়েকজন সাংবাদিক জানিয়েছেন আবুল খায়ের নামে কোনো সাংবাদিককে তারা চিনেন না।তারা তার পরিচয় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেছেন এই বেকারিটি আবুল খায়েরের এটা তারা জানেন তবে তিনি একজন সাংবাদিক এমন কথা তাদের জানা নেই।
মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মহিবুর রহমান জানান,এটা দেখার কথা পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের।
মাধবপুর পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর স্বরজিত রায় জানান,এমন কোনো বেকারির তথ্য তার জানা নেই।তবে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।