এখনো মিলেনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি
মহান মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক ফয়জুর রহমান ফৈয়াজ এর ২২তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ
বিশেষ সংবাদদাতা :
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ অক্টোবর ২০২২, ২:২০ মিনিটস্বাধীনতার ৫০ বছরেও মহান মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও কারা নির্যাতিত আওয়ামীলীগ নেতা ফয়জুর রহমান ফৈয়াজ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাননি। তবে আওয়ামীলীগের এই নেতা পেয়েছেন আওয়ামীলীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে একটি পদক। দলের ৫০ বছর পূর্তিতে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত জনসভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান এই নেতার হাতে পদক তুলে দেন। আজ এই ক্ষনজন্মা নেতার ২২ তম মৃত্যু বার্ষিকী।
বিয়ানীবাজারে যে ক’জন ক্ষনজন্মা পুরুষের ডাকে সাড়া দিয়ে অসংখ্য দামাল ছেলেরা মহান মুক্তিযোদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তাদের পক্ষ থেকে কিংবা উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে এসব নেতাদের স্মরণ করা হয় না। আজ এই নেতার মৃত্যু বার্ষিকীতেও নেই কোন আয়োজন।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি , স্বাধীনতা-উত্তর মুড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফৈজুর রহমান ফৈয়াজ কারা নির্যাতিত ও ত্যাগী এ নেতা ‘৭৫ পরবর্তী সময়ে কারাবরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাঁর বাড়ি পুড়িয়ে দেয় ।
আওয়ামী লীগের ৫০ বর্ষপূর্তিতে ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের জুনে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতৃবৃন্দেকে সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা জানানো হয়। জুন’১৯৯৯ এ অনুষ্ঠিত সভায় সিলেট বিভাগের ত্যাগী নেতৃবৃন্দের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া সংগঠনের প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিয়ানীবাজার থেকে মোহাম্মদ ফৈজুর রহমান ফৈয়াজ ও আকাদ্দস সিরাজুল ইসলাম সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন ।
২০০০ সালের আজকের দিনে এ নেতা মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে পারিবারিক গোরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয় ।
২০০৬ সালে মোহাম্মদ ফৈজুর রহমান ফৈয়াজের জীবন ও কর্মের ওপর একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়।
মহান এই মুক্তিযোদ্ধের সংগঠকসহ বিয়ানীবাজারের অন্যান্য সংগঠকের পক্ষ থেকে তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দানের জন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে চিঠি চালাচালির পরও এখনো পর্যন্ত কেউই পাননি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি।