বেকায়দায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ
বিডি ডেস্ক :
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ অক্টোবর ২০২২, ১২:৫৫ মিনিটকঠিন বার্তা দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের মন্ত্রিপরিষদের একজন মিত্র। বুধবার হাউজ অব কমন্সে বিশৃংখল অবস্থার মধ্যে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান পদত্যাগ করেন। ইমিগ্রেশন নীতি লঙ্ঘন করে ইমেইল পাঠানোর কথা স্বীকার করেছেন তিনি। এক পর্যায়ে কানকথা ছড়ায় যে চিপ হুইপ এবং তার ডেপুটি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু ১০ ডাউনিং স্ট্রিট জোর করে তা প্রত্যাখ্যান করে। এমন এক উত্তাল দিনের পর আজ বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে ১৯২২ কমিটি। সেই বৈঠককে সামনে রেখে লিজ ট্রাসের ওই মিত্র বললেন, যে ক্ষতি হয়ে গিয়েছে তা পুনরুদ্ধার করতে পারবেন না লিজ ট্রাস। তার পরিস্থিতি এখন ‘টার্মিনাল’। অর্থাৎ যেকোনো সময় তাকে বিদায় নিতে হবে। কিন্তু লিজ ট্রাস বুধবার হাউজ অব কমন্সে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, আমি একজন লড়াকু।
আমি পথ ছেড়ে দেয়ার মানুষ নই। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বিরোধী লেবার নেতা কিয়ের স্টর্মারের কড়া প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। ‘ফ্রাকিং’ ইস্যুতে ভোটের সময় কয়েকজন এমপিকে নির্যাতন, হাত দিয়ে প্রহার করার অভিযোগ নিয়ে শুনানি করতে আজ কনজার্ভেটিভ পার্টির ১৯২২ কমিটির চেয়ার স্যার গ্রাহাম ব্রাডি বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রীর পরিণতি নিয়ে এই কমিটির ব্যাকবেঞ্চারদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
লেবার দলের এমপি ক্রিস ব্রায়ান্ট গত রাতে ব্যতিক্রমী একটি ছবি শেয়ার করেছেন। তাতে হাউজ অব কমন্সের ভোটিং লবিতে এমপিদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়। এ অবস্থার সৃষ্টি হয় সুয়েলা ব্রেভারম্যানের পদত্যাগ, চিপ হুইপ পদত্যাগ করেননি এটা নিশ্চিত করতে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট তিন ঘন্টা সময় নেয়ার পর এ অবস্থা সৃষ্টি হয়। প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি অর্থাৎ উপপ্রধানমন্ত্রী তেরেসে কোফির বিরুদ্ধে টরি দলের এমপিদের ওপর হাত তোলার অভিযোগ ওঠে। বিরোধী লেবার দলের পক্ষ থেকে ভোট আহবান করা হয়েছিল। এই ভোটে বিরুদ্ধে ভোট দিতে সরকার দলীয় এমপিদের ওপর জোর প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন কফি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল।