জেলা পরিষদ নির্বাচন...
বিয়ানীবাজারে আলোচনায় ৪ প্রার্থী।। কে হাসবেন শেষ হাসি ?
স্টাফ রিপোর্টার :
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ অক্টোবর ২০২২, ১:৩৪ মিনিটরাত পোহালেই দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা মাত্র ৬০ হাজার ২১২ জন। মোট প্রার্থী দুই হাজার। দেশের অন্যান্য এলাকার মতো সিলেটের প্রবাসী অধ্যূষিত বিয়ানীবাজারেও বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। এখানে অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় প্রার্থী ও ভোটার কম থাকলেও মাঠে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। প্রচারণা শেষ হলেও প্রার্থীরা তলে তলে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে নিজ যোগ্যতা, অর্থ ও দলীয় অবস্থানকে সামনে এনে ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন।
জেলা পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড বিয়ানীবাজার উপজেলায় ৯ জন সদস্য পদ প্রার্থী ভোটে অংশ গ্রহণ করছেন। তাদের ১০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য, ১টি পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে একজন প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।
৮নং ওয়ার্ড বিয়ানীবাজারে এবারের নির্বাচনে ৯ প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন তারা হলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী খসরুল হক (উট পাখি), বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের খণ্ডকালিন প্রভাষক উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আরবাব হোসেন খান (তালা), বিয়ানীবাজার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল কাদির (ক্রিকেট ব্যাট), চারখাই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দুইবারের চেয়ারম্যান মাহমদ আলী (হাতী প্রতিক), মাথিউরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দুইবারের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা সিহাব উদ্দিন (অটোরিক্সা), উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য নজরুল হোসেন (ফ্যান প্রতিক), সাবেক ছাত্রনেতা ফ্রান্সপ্রবাসী আলিম উদ্দিন সুমন (ঘুড়ি) ও আলী আহমদ (টিউবওয়েল) এবং বঙ্গবন্ধু কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় নেতা ময়েজ উদ্দিন (টিফিন)।
নির্বাচনে ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করলেও মুলত ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্ধিতা হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। ভোটারগণ বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে শ্রোতের সাথে তাল মিলিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন বলেও নানা সূত্রে জানাগেছে। যদিও এই নির্বাচন নিয়ে ভোটারগণ প্রকাশ্যে কোন কথাবার্তা বলছেন না। তাই অনেকে আশংকা করছেন নিরব ভোটে যে কেউ একজন বিজয়ী হতে পারেন।
আলোচিত ৪ প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী বিয়ানীাবাজার সরকারী কলেজের খন্ডকালীন প্রভাষক আরবাব হোসেন খান (তালা)। তাকে নিয়ে চলছে আলোচনা। কারণ হিসেবে অনেক ভোটার জানিয়েছেন, কোন প্রার্থীর ঘরে নিজস্ব ভোট না থাকলেও ওই প্রার্থীর ঘরে একটি ভোট রয়েছে। অর্থাৎ এই নির্বাচনে আরবাব হোসেন খানের স্ত্রী বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়াম্যান রোকশানা বেগম লিমা একজন ভোটার।
এছাড়াও পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী খসরুল হক (উট পাখি), জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য বিএনপি নেতা নজরুল হোসেন (ফ্যান),উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল কাদির (ক্রিকেট ব্যাট) এর আলোচনা ভোটারদের মধ্যে রয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই চারজন প্রার্থীর মধ্যে জনগণ একজন প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবেন বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। এছাড়াও অনেকে চারখাই ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান মাহমদ আলী, ও মাথিউরা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান সিহাব উদ্দিনের নামও অনেকের মুখে শুনা যাচ্ছে।
সোমবার বিয়ানীবাজার পিএইচজি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ইভিএম এর মাধ্যমে এ ভোট গ্রহণ সকাল থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।