স্তন ক্যান্সার পরিক্ষায় এলো পুরস্কারজয়ী ডিভাইস
বিডি ডেস্ক :
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২:২৯ মিনিট
প্রতি বছর স্তন ক্যান্সারে বিশ্বে হাজার হাজার নারী মারা যাচ্ছেন। তাদের অনেকেই এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গগুলো টের পান। আবার অনেকে পান না। বহু নারী আছেন, শরীরে এর উপস্থিতি, বিশেষ করে স্তনে ‘লাম্প’ বা শক্ত মাংসের পিণ্ডের উপস্থিতি টের পেলেও লজ্জায় চিকিৎসকের কাছে যান না। এ জন্য নিজে নিজেই যাতে নিজের স্তন চেক করতে পারেন তারা, এমন একটি ডিভাইস আবিষ্কার করেছেন ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের দু’জন গ্রাজুয়েট ছাত্রী। তারা হলেন ডেব্রা বাবালোলা এবং শেফালি বোহরা। এরই মধ্যে তাদের আবিষ্কার জিতে নিয়েছে বৃটেনের অভিজাত ইউকে জেমস ডাইসন এওয়ার্ড। এ খবর দিয়ে অনলাইন ডেইলি মেইল বলছে, স্তন পরীক্ষা করার এই ডিভাইসটির নাম ‘ডটপ্লট’। হাতের সাহায্যে এটি দিয়ে একজন নারী তার স্তনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে পারবেন অনায়াসে। এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে একটি স্মার্টফোন অ্যাপ।
ডিভাইসটি স্তনের ওপর ধরলেই ভিতরকার টিস্যু সম্পর্কে তথ্য দেবে। এর ভিতরে কোথায় মাংসের শক্ত দলা পাকানো আছে কিনা তার রিপোর্ট দেবে। এই ডিভাইস কিভাবে ব্যবহার করতে হবে সে বিষয়ে ধাপে ধাপে নির্দেশনা দেবে ওই অ্যাপ।
ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে আলট্রাসাউন্ডের মতো সাউন্ডওয়েভ। তা ব্যবহার করে প্রতিটি স্তনের টিস্যুর গঠন সম্পর্কে রেকর্ড তৈরি করবে। একই সঙ্গে পরীক্ষার ফল জানাবে এবং প্রতিটি পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট তৈরি করবে স্মার্টফোনের অ্যাপ। এসব ফল এবং রিপোর্ট আগের মাসগুলোতে পরীক্ষার ফলের সঙ্গে তুলনা করে প্রস্তুত করা হবে। তাতে বুঝতে সহজ হবে যে, স্তনের গঠনে কোনো পরিবর্তন আছে কিনা। প্রাথমিকভাবে স্তনের কোনো সমস্যা থাকলে তা ধরা পড়বে এই অ্যাপে।
উল্লেখ্য, শুধু বৃটেনেই প্রতি বছর স্তন ক্যান্সারে মারা যান প্রায় ১১,৫০০ নারী। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে মারা যান ৩২ জন। এ তথ্য ক্যান্সার রিসার্সের। এমন ঘটনা ঘটলেও ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে শতকরা মাত্র ৩৬ ভাগ নিয়মিত প্রতি মাসে তাদের স্তন পরীক্ষা করান। প্রাথমিক লক্ষণ ধরা পড়ার পর শতকরা মাত্র ৫৪ ভাগ নারী তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের কাছে যান।
তাই যদি প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করা যায়, তাহলে প্রায় সব নারীর জীবন রক্ষা হবে। এক্ষেত্রে ডটপ্লট সহায়তা করতে পারে নারীদের। আবিস্কারক ডেব্রা বাবালোলা এবং শেফালি বোহরা দেখতে পেয়েছেন যে, নারীদের স্তন নিজে নিজে পরীক্ষা করার জন্য প্রচুর ভিন্ন ভিন্ন মেথড বা পদ্ধতি আছে। এর মধ্যে কোনো কোনোটা অন্যটার সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ। এ জন্য তারা এমন একটি ডিভাইস তৈরিতে হাত দিয়েছেন।