দাবদাহ থেকে বাঁচতে মাটির নিচে চীনারা
বিডি ডেস্ক :
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ আগস্ট ২০২২, ১:১৫ মিনিটতীব্র দাবদাহে দিন দিন যেন ‘মরুভূমি’ হয়ে উটছে চীন। রাস্তায় বেরোলেই গায়ে ফোস্কা পড়ার মতো অবস্থা! এর মধ্যেই আবার ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসাবে দেখা দিয়েছে লোডশেডিং।
সিচুয়ান এবং চংকিং। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত দুটি প্রতিবেশী প্রদেশ। এই অঞ্চলে চলমান দাবদাহের শিকার। পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে সম্প্রতি তাপমাত্রা পৌঁছায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এদিকে চলছে ইলেকট্রিসিটি সংকট।
অফিস এবং সরকারি দপ্তরগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার বেশিতে না চালানোর জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। অসহনীয় গরম থেকে বাঁচতে নাগরিকরা এখন ছুটছে মাটির তলদেশে। ‘কেভ হটপট’ নামে খ্যাত মাটির নিচে অবস্থিত খাবারের দোকানগুলোতে এখন জায়গা মেলা ভার। একেকটি গুহার ভেতরের তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস! বাইরে আগুন গরম হলেও মাটির নিচের জায়গাগুলো তাই যথেষ্টই ঠান্ডা।
আর তাই আগের থেকে আরও জমজমাট হয়ে উঠছে দোকানগুলোর ব্যবসা। কাজের ফাঁকে খাবার খাওয়ার পাশাপাশি মেলে প্রশান্তিও। শুধু তাই নয়, দোকান ছাড়াও গুহাগুলোতে সময় কাটাচ্ছেন মানুষ। খালি পরে থাকা গুহাগুলোতে, পাটি, চাদর কিংবা হ্যামক টাঙিয়ে বিশ্রামের উপযোগী করছেন তারা।
তীব্র তাপ থেকে রেহাই পেতে তাই অভিনব পন্থা বের করছে মানুষ। অফিসের ফাঁকা জায়গাতে বড় বড় বরফের চাঁই বসাচ্ছেন কর্মীরা। একই সঙ্গে ফিরে এসেছে হাতপাখা। ইলেকট্রিসিটির সংকটের চিহ্ন এখন মিলছে বাসা আর অফিস ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায়। ট্রেন চলার সময় বগির ভেতরে ব্যবহৃত হচ্ছে যৎসামান্য লাইট।
শুধু ধিমি ধিমি আলোই জ্বালানো হচ্ছে বগিগুলোয়। বাড়ি হোক বা অফিস, লিফট চালানো হচ্ছে সময়সূচি মেনে। তাই খাবার থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় জিনিসের ডেলিভারি নিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বালতি এবং শক্ত, লম্বা রশি। তীব্র গরম থেকে সৃষ্ট খরার কারণে নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এই অঞ্চলে বসবাসরত মানুষদের। সম্প্রতি এমন একজন হতভাগা খামার ব্যবসায়ী ভাইরাল হয়ে পড়েন।
নিজের কষ্টের কথা তুলে ধরেন তিনি। ভিডিওটির মাধ্যমে জানা যায়, গরমের উত্তাপ সহ্য করতে না পেরে এক রাতেই মারা গেছে তার সবকটি মুরগি। হতভাগা ব্যক্তিটি শেষমেশ কান্নায় ভেঙে পড়েন।