যুক্তরাজ্যে তীব্র গরমে অসহনীয় জনজীবন।। গলে গেছে বিমানের রানওয়ে!
বিডি ডেস্ক :
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জুলাই ২০২২, ১২:২৪ মিনিটইউরোপে চলছে তীব্র দাবদাহ। জীবনযাত্রা হয়ে উঠছে অসহনীয়। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যে তাপ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, মঙ্গলবারের মধ্যেই যুক্তরাজ্যের কোনো কোনো স্থানে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্পর্শ করতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তীব্র দাবদাহে অক্সফোর্ডশায়ারের নরটন বিমানঘাঁটিতে রানওয়ের পিচ গলে যাওয়ায় যুক্তরাজ্যের বিমানবাহিনী রানওয়ে আর ব্যবহার করতে পারছে না। তাদের বিকল্প রানওয়ে ব্যবহার করতে হচ্ছে।
এদিকে পিচ গলে রানওয়ে অনুপযোগী হয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছে লুটন বিমানবন্দরও। বিমানসেবা প্রতিষ্ঠান ইজিজেট বলছে, তাদের বেশ কিছু ফ্লাইট কাছাকাছি অন্য বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং অনেক ফ্লাইট ক্যান্সেলও হয়েছে।
বিমানবন্দরের মতো একই অবস্থা রেলস্টেশনেরও। নেটওয়ার্ক রেলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার লন্ডন থেকে উত্তরের লিডস ও ইয়র্কের উদ্দেশে কোনো ট্রেন ছেড়ে যাবে না।
নেটওয়ার্ক রেলের পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্যবাসীকে আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে তারা একদম দরকার ছাড়া মঙ্গলবার ভ্রমণে বের না হয়। এ ছাড়া লন্ডন, লিডস ও ইয়র্কে মঙ্গলবার অধিকাংশ গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এরই মধ্যে দাবদাহের কারণে অনেক স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের চেনা আবহাওয়াকে বদলে দিচ্ছে। যুক্তরাজ্যের তাপমাত্রা এখন পশ্চিম সাহারার থেকেও বেশি। দাবদাহে এরই মধ্যে ব্যাহত হচ্ছে দেশটির স্বাভাবিক জনজীবন।
যুক্তরাজ্যে এক আবহাওয়া বিভাগের পক্ষ থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
ইয়র্ক ও ম্যানচেস্টারের আবহাওয়া অফিস লন্ডন ও দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের বড় অংশজুড়ে দাবদাহের কারণে রেড এলার্ট জারি করেছে। গত বছর এই আবহাওয়াকেন্দ্রিক সতর্কতা চালু করার পর এই প্রথম রেড এলার্ট দেয়া হলো।
এই উচ্চ সতর্কতার মানে হলো চলমান দাবদাহ মানুষ ও অবকাঠামোর ওপর প্রভাব ফেলবে, যার ফলে দৈনন্দিন রুটিনে পরিবর্তন আনতে হবে।
আবহাওয়া অফিসের রেড এলার্টের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থাও লেভেল ফোর এলার্ট জারি করেছে। যুক্তরাজ্যের লেভেল ফোর এলার্টকে জাতীয় জরুরি অবস্থা বিবেচনা করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা নাগরিকদের বেশি বেশি পানি পান করতে বলেছেন এবং স্বজন ও প্রতিবেশীদের খোঁজ রাখতে বলেছেন।
পরিস্থিতি নিয়ে করণীয় ঠিক করতে কোবরা মিটিং হয়ে গেছে। মিটিংয়ের পর দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বার্কলে বলেছেন, অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা বৃদ্ধি ও জরুরি সেবার কল হ্যান্ডেলারদের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।
এর আগে যুক্তরাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছিল ২০১৯ সালে কেমব্রিজে ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।